সিরাজগঞ্জের রবীন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা স্নাতক সম্পন্ন উপলক্ষে তাদের স্মৃতিকে চিরঅম্লান রাখতে 'পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি' শিরোনামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করেছে।
সোমবার বিকেলে রবির একাডেমিক ভবনের-১ লেকচার থিয়েটারে 'আনন্দলোকে মঙ্গলআলোকে' গেয়ে এ অনুষ্ঠান করা হয়। এ অনুষ্ঠানের শুরুতেই রবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা প্রদর্শন করা হয়। এরপর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের স্মরণিকা পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করেন রবির উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর শাহ্ আজম।
রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. রিফাত-উর-রহমাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি বলেন,'সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের স্মরণিকাটি রবির জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যেহেতু রবি বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত তাই এখানে শ্রেণিকক্ষ ভিত্তিক পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননে সাংস্কৃতিক এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমের প্রতিচ্ছবি দেখতে চাই। এরই প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের মাঝে যারা গ্রাজুয়েশন শেষ করেই তাদের স্মৃতিকে অম্লান রাখতে স্মরণিকা বের করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এটি রবির জন্য পরম আনন্দের'।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের মঙ্গল কামনা করছি। তারা তাদের কর্মজীবনে সফল হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে এটাই প্রত্যাশা'। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে যেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভাগের সকল শিক্ষকও তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এ অনুষ্ঠানে ওই বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ, শিক্ষক জান্নাতুল মাওয়া মুন, রাজীব অধিকারী, আজিম উদ্দীনসহ রবির শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে শিক্ষার্থীরা। উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে রবির তিনটি বিভাগে ১০৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
প্রথম তিন বিভাগের মধ্যে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ছিল একটি। মোট ৩৭জন শিক্ষার্থী ও ৩ জন শিক্ষক নিয়ে বিভাগের যাত্রা শুরু হয় এবং এ বছর বিভাগটির প্রথম ব্যাচ তাদের স্নাতক সম্পন্ন করে। রবির ইতিহাসে প্রথম স্নাতক সম্পন্ন করা একটি ব্যাচ স্মরণিকা প্রকাশ করেছে।
